চীন 'বিশ্বের মধ্যে একটি বৃহত্তম জনবহুল দেশ। তা সত্ত্বেও দেশটি কৃষি ক্ষেত্রে বেশ উন্নত। এর প্রধান কারণ চীন মৌসুম নিরপেক্ষ ও হাইব্রিড জাতের বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদনে সক্ষম। আমরাও এ ধরনের কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে কয়েকগুণ বেশি ফসল উৎপাদন করতে পারি। এগুলো নিজেদের প্রয়োজন। মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারি।
উদ্দীপকে উল্লেখিত দেশটি হলো- চীন। দেশটির সাথে বাংলাদেশের কৃষি ব্যবস্থার তুলনা নিম্নে আলোচনা করা হলো-
বাংলাদেশের তুলনায় চীন কৃষিতে অনেক উন্নত দেশ। ফসলওয়ারি তুলনা করলে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া প্রায় সকল কৃষিজাত উৎপাদন হেক্টর প্রতি চীনে বেশি। এর প্রধান দুটি কারণ আছে। এক জিনগত অর্থাৎ বংশগতিগত পরিবর্তন এমনভাবে তারা ঘটাতে সক্ষম হয়েছে যে তাদের অধিকাংশ ধানের জাত মৌসুম নির্ভরশীল আর নেই, এ জাতগুলো আগে প্রচলিত জাতগুলোর চেয়ে হেক্টর প্রতি সাতগুণ পর্যন্ত ফলন দিচ্ছে। চীনের ধান গবেষকগণ দাবি করছেন আগামী প্রজন্মের ধান জাতগুলো এখানকার চেয়ে দ্বিগুণ উৎপাদন দেবে। চীনের বর্তমান আর্থ-সামাজিক রাজনৈতিক ব্যবস্থার সঙ্গে এসব ফসল হয়তোবা সহায়ক ও হুমকিহীন। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সমস্যা আছে। কারণ ঐতিহ্যগতভাবে ধান বীজের জন্য বাংলাদেশের চাষিদের বীজ ব্যবসায়ীদের মুখাপেক্ষী হয়ে না থাকলেও চলে। কেননা দেশের মোট ব্যবহৃত ধান বীজের অন্তত ৮৫% চাষিরা নিজেরাই সঞ্চয় ও ব্যবহার করে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (BRRI) এ পর্যন্ত যতগুলো উচ্চ ফলনশীল ধান জাত (HYV) উদ্ভাবন করে কৃষকের হাতে তুলে দিয়েছে সেগুলোর বীজ ধানক্ষেতেই উৎপাদন করা যায় এবং চাষিরা পরবর্তী ফসলের জন্য বীজ সেখান থেকে সঞ্চয় করে রাখতে পারেন। অর্থাৎ ধান বীজের জন্য বাংলাদেশের চাষিদের এক ধরনের সার্বভৌমত্ব রয়েছে। অবশ্য বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটেও ঐ টার্মিনেটর টাইপ সুপার হাইব্রিড ধান উৎপাদনের জন্য জোর গবেষণা চলছে। শীঘ্রই হয়তো বাংলাদেশের চাষিরা এই অতি উচ্চ ফলনশীল দেশি ধান বীজ পাবে চাষ করার জন্য।
আপনি আমাকে যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন, যেমনঃ
Are you sure to start over?